স্বদেশ ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১২ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে। রাজাকের অপরাধ তিনি মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল (ওয়ানএমডিবি) থেকে কয়েক কোটি মার্কিন ডলার দুর্নীতি করে সরিয়েছেন।
এই অপরাধে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে প্রায় ৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছিল। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে তার আপিল খারিজ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মালয়েশিয়ানরা এই রায়ের প্রশংসা করে বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিবের কারাদণ্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে সতর্কতা। অন্যদিকে নাজিব রাজাকের বিরোধীরা ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন’ রায়ের মাধ্যমে সেটা প্রমাণের কথা বলছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নাজিবের কারাদণ্ড একজন রাজনীতিবিদের বিস্ময়কর পতন যিনি মাত্র ৪ বছর আগেও মালয়েশিয়া পরিচালনা করেছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কাজাং কারাগারে রাখা হয়েছে।
পলিটিক্যাল রিস্ক কনসালটেন্সি বোয়ারগ্রুপএশিয়ার পরিচালক আদিব জলকাপালি বলেন, এটা ‘অভূতপূর্ব’। অনেক ‘প্রথম’ কিছুর জন্য নাজিবকে মনে রাখা হবে। তিনিই মালয়েশিয়ার প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি ২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে হেরে যান, তিনিই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
লিম ওয়ে জেট নামে মালয়েশিয়ার একজন সাধারণ নাগরিক বলেন, সর্বোচ্চ শক্তিশালী ব্যক্তিও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে পারেন। এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। এই রায় সব রাজনীতিবিদের জন্য সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে।
ফ্রেয়ার নামে আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘রাজনৈতিক দুর্নীতির সমাধি। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা অর্জনের মাসে তাকে কারাগারে রাখা ‘পরিপূর্ণ গৌরবের’।’